দুখে ও বনবিবি
দুখের বনবিবির প্রতি কৃতজ্ঞতার অন্ত ছিল না।সে বাড়ি ফিরে আগেই মা বনবিবির ধুমধাম
করে পুজা করলেন।দুখে চাল দুধ ও মিষ্টি দিয়ে খোয়াক্ষীর তৈরি করে মায়ের ভোগ দিলেন।
এদিকে ধনা লোকের মুখ থেকে শুনেছে যে দুখে বন থেকে বেছে ফিরে এসেছে এবং প্রচুর ধন
সম্পত্তির মালিক হয়েছে।ধনা চিন্তা করল যে দুখে কি কোনও ভাবে তার বিরুদ্ধে হাকিমের কাছে
নালিশ করে তাহলে তো তার গর্দান যাবে।দুখে তার মাকে বলল যে সে এবার ধনার বিরুদ্ধে হাকিমের
কাছে নালিশ করবে।দুখের মা বলল যে ধনারা খুব ধনী।নালিশ করে কোনও লাভ হবে না।
এই শুনে দুখে বলল বনবিবির দোয়ায় সে সাতঘরা ধন রত্নও পেয়েছে তার কোনও দুঃখ নেই।তখন
দুখের মা জানতে চাইল যে সেই ধন কোথায় বাড়ির পূর্বদিকে যে তার গাছ আছে তার তলায় সমস্ত
ধন গাড়া আছে।সেই ধন বিক্রয় করে সে বড় বাড়ি তৈরি করবে।
রাত্রে দুখে কদাল নিয়ে ওই ধন মাটি খুঁড়ে আনতে গেল কিন্তু সে পারল না ভাবল বরকান
গাজি তাকে ঠকিয়েছে।এই ভেবে সে বাসার কাছে ফিরে এল।সাতটা চোর দূর থেকে তার কার্যকলাপ
লক্ষ্য করছিল।তারা দুখের হাত থেকে কোদাল কেরে নিয়ে পুনরায় খুঁড়তে লাগল চোররা মহানন্দে
ঘড়ার মুখ খুল্ল বলে আনন্দে লাফিয়ে পরল কিন্ত ওখান থেকে সাপ ফোঁস করে উঠল। তারা ঘরা
৭টি দুখের বাড়ি ফেলে পালাল।
এর আওয়াজ শুনে দুখে বাইরে এসে দেখল সাতটি ঘড়া বাইরে সাজানো।এগুলো খুলে দেখল ঘড়া
ভর্তি ধন রত্ন।দুখে তারাতারি সব ধন রত্নও নিতে ঘরের ভিতরে গেল।
এভাবে দুখে খুব বড়লোক হয়ে গেল।এরপর দুখে ভাবল যে বাড়ি করবে তার জন্য কাঠ চাই।তখন
যে ভাবল দক্ষিণ রায় তো বাদার মালিক তার কছে গেলে কাঠ পাওয়া
যাবে ঠিক তাই হল তাকে বাড়ি করার জন্য দক্ষিণ রায় কাঠ দিল।সে বড় বাড়ি করল সেখানে
দাস দাসি পেয়াদা সব মজুত ছিল।দুখে দেশের রাজা হয়ে গেল প্রজাদের দান ধ্যানে মুগ্ধ
হল এবং গরিব প্রজারা শান্তিতে বসবাস করতে লাগল।এবং তার নামে জয়ধ্বনি সারা দেশে
ছরিয়ে পরল।
Comments
Post a Comment