বনবিবি ও দক্ষিণ রায় পার্ট ২
বাদাবন বা সুন্দরবনের অধিকর্তা হলেন দন্দবক্ষ মুনি। তিনি আবার শিবের অংশবিশেষ ওনার স্ত্রীর
নাম নারায়ণী।তিনিও দুর্গার
অংশবিশেষ তাদের ছেলের নাম দক্ষিণ রায়।দণ্ডবক্ষ মুনি ও নারায়ানী তাদের ছেলে দক্ষিণ রায়কে রেখে মারা গেলেন।এই দক্ষিণ রায় হিন্দু দেবতা তিনি নরবলি
চান,তিনি ব্রাহ্মণ বাঘের ছাল গায়ে চাপিয়ে
মাঝে মাঝে প্রয়োজন পরলে মানুষ ধরতে বের হন কালীর ভক্ত
তিনি।বাদার সমস্ত
মধু ও কাঠের অধিকারী।
আল্লা মেহেরবানের দোয়াতে বেরাহিমের দ্বিতীয় পত্নি গুলামবিবি বনের মধ্যে নির্বিঘ্নে
বসবাস করতে লাগলেন।তাদের কোনও
অসুবিধা হল না বনবিবি ও সাজজঙ্গলি জঙ্গলের মধ্যে বড় হয়ে উঠতে লাগলেন।সারা বাদাতে তারা দুই ভাই বন ঘুরে খেলে
বেড়াতেন।
বেশ কিছুদিন পর বেরাহিম তার ভুল বুঝতে পেরে গুলামবিবি কে ফিরিয়ে আনতে বাদাবনে উপস্থিত
হলেন।কিন্তু তারা গেলেন না।পড়ন্ত তারা বললেন যে যে তারা আল্লার
দোয়া পেয়েছেন।এই বাদাবনেই
তারা বসবাস করবেন।এবং এখানে
থেকে তারা জঙ্গলবাসীর দুঃখ দূর করবেন।
এদিকে দক্ষিণ রায়ের অত্যাচার দিনে দিনে বাড়তে লাগল।কেউ তাকে প্রতিহত করতে পারে না।দিন দুনিয়ার মালিক খোদাতাল্লা তাই বনবিবি
ও সাজজঙ্গলি কে পাঠালেন দক্ষিণ রায়কে উচিত শিক্ষা দিতে।দক্ষিণ রায়ের মা নারায়ানীর সঙ্গে বনবিবির
প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় বনবিবি কিন্তু নারায়াণীর সঙ্গে এঁটে উঠতে পারলেন না।অবশেষে আল্লার কৃপায় বনবিবি জয়লাভ করে
আঠারো ভাটির মালিক হলেন।তারপরে মা
বনবিবির শাসনে বন হয়ে উঠল শান্তির আঁধার।
ধনা মনা দুই ভাই জাতিতে তারা মুসুলমান।ধনী ব্যক্তি তারা এদের বাসস্থান বরুজহাটি হাসনাবাদ নিকটবর্তী।ছোট নদী বরুজের তিরে এদের বিরাট বাড়ি।একদিন বন থেকে মধু সংগ্রহ করে আনার
সংকল্প করল ধনা,মনা বারন করল।সে বলল তাদের যে ধন ঐশ্বর্য তাতে সন্তুস্ত
থাকতে আর ধন ঐশ্বর্যে কাজ নেই।কিন্তু এ কথা শুনে ধনা বলল রাজার সম্পত্তিও বসে বসে খেলে শেষ হয়ে যায় অতএব
বাদাতে তারা মধু ও মম সংগ্রহ করতে যাবেন বলে ঠিক করলেন মনা আর কি করে দাদার কথায়
সম্মতি দিয়ে তারা সপ্তডিঙ্গা নিজে বাণিজ্য করতে গেলেন।এবং তারা মধু সংগ্রহ করতে
গেলেন।
Comments
Post a Comment